যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা কন্ট্রোল রিস্ক ২০১৪ সালের অপহরণের ঘটনাগুলোর সংখ্যা বিচারে বাংলাদেশকে সপ্তম স্থানে রেখে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সম্প্রতি।
ওই প্রতিবেদন নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখার পর সোমবার বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অপহরণের যতগুলো ঘটনা ঘটে, তার ৮৪ শতাংশই প্রেমঘটিত। ফলে অন্য সব সব দেশের অপহরণের ঘটনার সঙ্গে এর মিল নেই।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা কন্ট্রোল রিস্ক তাদের এই প্রতিবেদন তৈরিতে বাংলাদেশ পুলিশের কাছ থেকে কোনো তথ্য নেয়নি বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
কন্ট্রোল রিস্কের তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে মেক্সিকো। যুদ্ধপীড়িত ইরাক চতুর্থ এবং লিবিয়া ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে, সুদান রয়ে নবম স্থানে।
দক্ষিণ এশিয়ার ভারতকে দ্বিতীয় এবং পাকিস্তানকে তৃতীয় এবং আফগানিস্তানকে অষ্টম স্থানে রেখেছে ‘কন্ট্রোল রিস্ক’।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে অপহরণের ঘটনাগুলোর ৮০ শতাংশ ঘটেছে অপরাধীদের দ্বারা এবং এসব অপহরণের মূল কারণ জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়। ২০ শতাংশ অপহরণে জড়িত জঙ্গিরা।
এই তালিকায় এই প্রথম বাংলাদেশ শীর্ষ ১০-এ এসেছে উল্লেখ করে ‘কন্ট্রোল রিস্ক’ নারায়ণগঞ্জে অপহরণ করে সাতজনকে হত্যার ঘটনাটিও তুলে ধরেছে।
বাংলাদেশ পুলিশের দাবি, ‘কন্ট্রোল রিস্ক’র প্রতিবেদনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অন্য সংস্থাগুলোর পরিসংখ্যানের মিল নেই।
লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সতর্ককারী সংস্থা ‘হেল্প বিল্ড পিস’ এবং ‘রেড টোয়েন্টিফোর’ প্রতিবেদনে অপহরণের অপরাধ সংঘটনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ নেই।
গত ৬ মার্চ অস্ট্রেলিয়া সরকার প্রণীত ‘কিডন্যাপিং থ্রেট ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ শীর্ষক প্রতিবেদনেও বাংলাদেশের নাম নেই। তবে ‘নেশন মাস্টার’ নামে একটি সংস্থার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নাম ৩৩ নম্বরে রয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।